অনলাইন রিপোর্ট:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে তারা কোনো কিছুতেই ছাড় দেননি। তিনি বলেন, শুধু ট্রাম্পকে যারা অপছন্দ করেন তারাই বলবেন যে, আমরা বড় কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
কিমের প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কিম খুবই প্রতিভাবান। তিনি খুব কম বয়সে একটি দেশের ক্ষমতায় এসেছে এবং কঠোরভাবে দেশ পরিচালনা করেন।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, অত্যন্ত ঘটনাবহুল ২৪ ঘন্টা পার করলাম আমরা। সত্যি বলতে ঘটনাবহুল তিনটি মাস পার হলো।
উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে এ সময় তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য একটি দেশ হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করার সম্ভাবনা আছে তাদের। চেয়ারম্যান কিমের সঙ্গে আমার বৈঠক আন্তরিক, গঠনমূলক আর খোলামেলা ছিল। পরিবর্তন আসলেই সম্ভব। কিম এরই মধ্যে প্রধান মিসাইল পরীক্ষার জায়গা ধ্বংস করছেন।
তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তাদের বিবৃতিতে নেই। বিবৃতি তৈরি হওয়ার পর দুই নেতা এ বিষয়ে একমত হন।
চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, শর্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এখনই সেনাবাহিনী সরিয়ে নেবে না। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করবে তারা।
অপেক্ষাকৃত সংক্ষেপে’ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়েও কিমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উত্তর কোরিয়ায় যুদ্ধবন্দী মার্কিন সেনাসদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আজ এ বিষয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি এবং আশানুরূপ উত্তর পেয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা যখন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হবো, তখন উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। আমি আসলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাই। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে চাই না।
এর আগে সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এই বৈঠক শুরু হয়। উত্তর কোরিয়ার নেতা ও কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টর মধ্যে এটি প্রথম বৈঠক।
বৈঠক শেষে গাড়িবহর নিয়ে হোটেল ছাড়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে কথা বলবেন।